ইলন মাস্ক নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন পেলেন

বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। নরওয়ের নোবেল কমিটি এক ইমেইলের মাধ্যমে তার মনোনয়ন গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

স্লোভেনিয়ার রাজনীতিবিদ এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ব্র্যাঙ্কো গ্রিমস তার এক বার্তায় জানান, নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে ইলন মাস্ককে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদন গ্রহণ করেছে নোবেল কমিটি।

গ্রিমস আরও বলেন, বাকস্বাধীনতা এবং বিশ্ব শান্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ মাস্ককে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তার মতে, মাস্কের বিভিন্ন উদ্যোগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাস্কের মনোনয়ন নিশ্চিত করে নরওয়ের নোবেল কমিটি যে ইমেইল পাঠিয়েছে, তা ব্র্যাঙ্কো গ্রিমস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করেছেন।

ইমেইলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, "২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আপনার মনোনয়ন সফলভাবে জমা পড়েছে।" এছাড়া, এই মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন গ্রিমস।

ইলন মাস্ককে আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। গত ডিসেম্বরেও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ব্র্যাঙ্কো গ্রিমস বলেন, "বাকস্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য মাস্ক নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য।"

এছাড়া, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নরওয়ের সাংসদ মারিয়াস নিলসেনও মাস্ককে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিলেন। তবে ওই বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল "হিরোশিমা-নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলার ভুক্তভোগীদের সংগঠন।"

ইলন মাস্ক শুধু প্রযুক্তি উন্নয়নেই অগ্রণী নন, বরং তার মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার) বাকস্বাধীনতার পক্ষে নীতিমালা বাস্তবায়ন করে আলোচনায় এসেছে। এছাড়া, তার প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করে যোগাযোগের স্বাধীনতা রক্ষায় ভূমিকা রাখছে।

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, মানবাধিকার ও শান্তির ক্ষেত্রে মাস্কের ভূমিকা তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য একজন শক্তিশালী প্রার্থী করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত তিনি এই সম্মানজনক পুরস্কার জিততে পারেন কিনা।